Popular Post

Posted by : Maruf Al Berunee Saturday, April 16, 2016


আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
“আল-বায়ান” পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য প্রযোজ্যঃ
আল্লাহর সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক শান্তি, রহমত ও বরকত।
সকল প্রসংশা আল্লাহর  যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আদম থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ পর্যন্ত সকল নবী রাসূলের উপর। আমরা তাদের মাঝে কোন পার্থক্য করি না। আর আমরা আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পকারী।
বিশ্বায়নের আগ্রাসনের মোকাবেলায় নতুন করে ইসলামী পুনরুত্থান ও পুনরজাগরনের পত্র তোমাদের নিকট আসছে। যার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন ডঃ ফরিদ আল আনসারী ও অন্যান্য লেখকগণ তাদের প্রবন্ধে। এবং তারা বিবেকবান পাঠকের কাছ থেকে তা থেকে  সত্যের দিকে নিষ্ক্রমণের উপায় বের করতে মতামত চেয়েছেন।
মানব বিশ্ব বর্তমানে ইতিহাসের  সবচেয়ে ...............। মুস্তাদআফ নর-নারী ও শিশুরা আরশের মালিকের কাছে কাতর স্বরে ফরিয়াদ জানাচ্ছে যেন তিনি তাদের জন্য একজন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দেন।
আর এই পত্র
আল্লাহ বনী আদমকে এই পৃথিবীতে এবং পৃথিবীতে  যা কিছু আছে তার উপর খলিফা বানিয়েছেন।
ইয়াহুদি, খৃষ্টান ও আজকের মুসলমানরা কেউই তাদের পিতা ইব্রাহীমের মত হানিফ মুসলিম না। বরং তাদের প্রত্যেকেই কাফির, মুশরিক অথবা মুরতাদ। সুতরাং পৃথিবী এখন নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতায় এমনভাবে ভরে গেছে যে পৃথিবীতে এক টুকরা জমিও নেই যেখানে একজন একনিষ্ঠ মুমিন ব্যক্তি তার রবকে সিজদা করবে। আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়, আল্লাহ কাহারও মুখাপেক্ষি নন, সকলেই তাহার মুখাপেক্ষী;  যিনি কাহাকেও জন্ম দেন নাই এবং তাঁহাকেও জন্ম দেওয়া হই নাই, এবং তাঁহার সমতুল্য কেহই নাই।
আর সকাল খুবই নিকটে।
আল্লাহর সত্যবাদি বান্দাদের উপর সালাম।  
ইমামুদ্দীন মুহাম্মাদ তোয়াহা
তারিখঃ ৩০ জিলকদ ১৪২৪ হিজরি
মোতাবেক ২৩ জানুয়ারী ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ
ঢাকা, বাংলাদেশ।
রোড ম্যাপঃ ঢাকা থেকে মক্কা, মক্কা থেকে বিশ্ব। 
মুনতাদা আল ইসলামী কর্তৃক লন্ডন থেকে প্রকাশিত “আল বায়ান” ম্যাগাজিন এর প্রতি
ওইদিন আসার পূর্বে যেদিন কোন ক্রয়-বিক্রয় ও বন্ধুত্ব কাজে আসবে না।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।
হাঁ, হজ্জ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু সাধারণ কোন বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
ইমামুদ্দীন মুহাম্মাদ তোয়াহা
muhammadjbd@gmail.com
হজ্জে মাবরুর হল  বিশ্ববিদ্যালয় আর হজ্জে মাগরুর (প্রতারণা ও ধোঁকা) হল পর্যটন ও রাজস্ব সংগ্রহ।
১।
মানুষের মধ্যে যাহার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্জ করা তাহার অবশ্যকর্তব্য। এই সামর্থ্য বলতে মক্কা যাওয়া-আসার টিকেট ও পরিবারের ব্যয়ভার বহন করাকে বোঝায় না। 
হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়েছি?












হে বনী আদম! হে মুস্তাদআফ আল্লাহর দাসেরা! তোমরা তাগুত শয়তানদের থেকে তোমাদের মুখ ফিরিয়ে নাও। তোমরা সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন রূপে


ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ ইসলামের জন্য যাহার বক্ষ উম্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং যে তাহার প্রতিপালক প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরুপ নহে? দুর্ভোগ সেই কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যাহারা আল্লাহর স্মরণে পরাঙ্মুখ! উহারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে।
হে আল্লাহর দাস ও সৈনিকরা! হে আল্লাহর দল ও মহাপুরুষরা!  হে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাসুল নূহ, ইবরাহীম, মুসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সাঃ দের অনুসারী যায়েদ, বিলাল, সুহাইব, আম্মার, ইবনে মাসউদ, সালমান, আইমান উসামাহরা! তোমরা কঠিন বিপদে পড়ে নির্বাক হওয়া অবস্থা থেকে জেগে ওঠো! “সুতরাং তোমরা হীনবল হইও না এবং সন্ধির প্রস্তাব করিও না, তোমরাই প্রবল; আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের কর্মফল কখনও ক্ষুণ্ণ করবেন না”। 
এই মহা গুরুত্বপূর্ণ কাজের আঞ্জাম দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাঁর এই বান্দার বক্ষ উম্মুক্ত করেছেন। আমি তোমাদেরকে মুক্তির দিকে আহবান করছি। আল্লাহ আমাকে সুলাইমানের মত মীমাংসাকারী জ্ঞান দান করেছেন। তিনি আমাকে তাঁর নূরের উপর অধিষ্ঠিত করেছেন। তোমরা চিৎকার করে স্লোগান দাও ও মানুষের মাঝে একথা পৌঁছিয়ে দাও যে মানুষ বনী আদম। তাদের মধ্যে মুত্তাকীতম ব্যক্তিই সর্বাধিক সম্মানিত। আর আল্লাহর দ্বীনে কোন ইয়াহুদি, নাসারা, সুন্নী, শিয়াবাদ নেই। এগুলো শুধু শয়তানের দ্বীনেই রয়েছে। আর শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
আল্লাহ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হইব এবং আমার রাসুলগণও। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
হে আল্লাহর দাসেরা! রাসুলদের মত আল্লাহর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে যাও সে ইমামের পেছনে যে ইমামের নামে কিয়ামতের দিন আমাদের আহবান করা হবে। অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর যেমন ধৈর্য ধারণ করিয়াছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাসুলগণ।
হে নবীদের ওয়ারিশগণ! তোমরা আল্লাহর বন্ধুরুপে ন্যয়বিচারে দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত থাকিবে আল্লাহর সাক্ষী স্বরুপ; যদিও ইহা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতামাতা এবং আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। তাহলে আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ঈমান অংকিত করে দিবেন। এবং তোমাদেরকে শক্তিশালী করবেন তাঁর পক্ষ থেকে রুহ দ্বারা। এবং তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন ও আল্লাহর দল বানাবেন। জানিয়া রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হইবে। তিনি তাঁহার বান্দাদের অকৃতজ্ঞতা ও আল্লাহর দলের নামে দলাদলি পসন্দ করেন না। তারা হল আহযাব ( বিভিন্ন দল)। তারা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর দলের বিরুদ্ধে। তারা আল্লাহ, রাসুল ও মুমিনদের শত্রু। অতপর তাদেরকে সতর্ক কর পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের মতই বিপদসঙ্কুল দিনের। জাতীয়তাবাদ ও গোত্রবাদের দলাদলি, যেমন কাওমে নূহ, কাওমে আদ, কাওমে ফিরাউন, কাওমে সামুদ ও কাউমে লুত। উহারা প্রত্যেকেই ছিল এক-একটি বিশাল বাহিনী। তাদের ধংসের সকল লক্ষণ এসে গেছে। এই আহজাবদের জন্য বাকি আছে শুধু একটি মহানাদ; কেবলমাত্র এক মহানাদ। ফলে উহারা নিথর নিস্তব্ধ হইয়া গেল। কেবলমাত্র এক মহানাদ যাহা ইহাদিগকে আঘাত করিবে ইহাদের বাক-বিতণ্ডাকালে। কেবলমাত্র এক মহানাদ; তখনই ইহাদের সকলকে উপস্থিত করা হইবে আমার সম্মুখে।
তোমরা কোরআনকে শক্তভাবে ধারণ কর। আর নবী সাঃ এর কুরআন এর আলোকে বলা সহিহ বানীও ধারণ কর। তাওহিদের উর্ধে কোন ঈমান নেই, রিসালাতের নিচে কোন দ্বীন ও শরীয়া নেই। মুহাম্মাদ সাঃ এর রিসালাতই হল সকল রাসূলের রিসালাত। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না।
বনী আদমের মধ্য হতে আগত ইমামের পেছনে তওবা করে আল্লাহর পানে ধাবিত হও যাতে করে ঐ সালাত আবার কায়েম করা যায় যে সালাত ইয়াহুদী, খৃস্টান ও আরবরা নষ্ট করেছিল। “উহাদের পরে আসিল অপদার্থ পরবর্তীরা, তাহারা সালাত নষ্ট করিল ও লালসা-পরবশ হইল”।
সবশেষে আমি আমার ও তোমাদের জন্য তেলাওয়াত করছিঃ “যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে দয়াময় অবশ্যই তাহাদের জন্য সৃষ্টি করিবেন ভালবাসা। আমি তো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করিয়া দিয়াছি যাহাতে তুমি উহা দ্বারা মুত্তাকীদেরকে সুসংবাদ দিতে পার এবং বিতণ্ডাপ্রবণ সম্প্রদায়কে উহা দ্বারা সতর্ক করিতে পার। তাহাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করিয়াছি! তুমি কি তাহাদের কাহাকেও দেখিতে পাও অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনিতে পাও?”
এই টেলিগ্রাম বার্তার সাথে তোমাদের জন্য আরও দুটি পত্রের কপি দেওয়া হল, দশ রজনীর আযান ও দায়মুক্তির পত্রের কপি ও ইরানী ওলামা পরিষদের প্রতি লেখা পত্রের কপি।
তোমরা সাক্ষী থাক, আল্লাহই সর্বোত্তম সাক্ষী।
সৎকর্ম পরায়ণ আল্লাহর বান্দাদের উপর সালাম।
ইমামুদ্দীন মুহাম্মাদ তোয়াহা
এই টেলিগ্রাম বার্তা লেখা শেষ হয়েছে পবিত্র মুহাররম মাসের ১২ তারিখ,বৃহস্পতিবার দুপুরে, ১৪২৫ হিজরি।

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

- Copyright © IMAMUDDIN MUHAMMAD TOAHA BIN HABEEB - - Designed by Abdullah Al Maruf -